রাজশাহীতে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা: পুরো খবর
রাজশাহী, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
রাজশাহীর ডাবতলা এলাকার
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলে প্রায় ৩টা-৪টার মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি বাসায় ঢুকে হামলা চালায়। এই সময় তাওসিফের মা তাসমিন নাহারও সেখানে ছিলেন। হামলার সময় তাওসিফকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও চিকিৎসকরা তাওসিফকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তাওসিফ নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে শোক নেমে এসেছে। তাসমিন নাহার গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে রাজাকারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক বক্তব্যে বলা হয়েছে, নিহতের গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে। আঙুলেও ছুরির কাটা চিহ্ন পাওয়া গেছে। এটি ঘটনার ভয়াবহতা নির্দেশ করে।
![]() |
| অভিযুক্ত লিমন মিয়া |
স্থানীয় পুলিশ ও তদন্ত কর্মকর্তা জানান যে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি লিমন মিয়া সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তাঁর পেছনের পরিচয় ও সম্ভাব্য উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পুরো কারণ এখনও স্পষ্ট নয়; পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ফোন, ও বাসার অন্যান্য জিনিসপত্র পরীক্ষা করছে। এই তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিচারক মো. আবদুর রহমান ও তাদের পরিবারের সঙ্গে এলাকাবাসী ও স্থানীয় নেতারা ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় জনসাধারণ চাঞ্চল্য ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পুলিশ দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছে।
এদিকে, গুজব ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সম্পর্কে মন্তব্য করে পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে “বিএনপি নেতার ছেলে” বা কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ভিত্তিক অভিযোগের সমর্থন পাওয়া যায়নি; আটক ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তদন্তের পরেই অপর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনগণের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা ও বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে, এবং তারা ঘটনার সঠিক কারণ জানতে আগ্রহী।
এলাকার মানুষজনের মধ্যে এই ঘটনার প্রভাব গভীরভাবে অনুভূত হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, এই ধরনের ঘটনা সমাজে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করে এবং এটি আমাদের সমাজের জন্য একটি বড় সংকেত। স্থানীয় নেতারা এবং সমাজের সচেতন নাগরিকরা একত্রিত হয়ে এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানাচ্ছেন। তারা মনে করেন, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হলে প্রশাসনকে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
এছাড়া, স্থানীয় স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাওসিফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে এবং তারা মনে করে, এই ধরনের সহিংসতা আমাদের সমাজের জন্য একটি বড় বিপর্যয়। তারা আশা প্রকাশ করেছেন যে, প্রশাসন দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের শাস্তি দেবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই ঘটনার পেছনে আসলে কি কারণ ছিল? কি কারণে লিমন মিয়া এই হামলা চালালেন? পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। স্থানীয় জনগণও এই ঘটনার পেছনের কারণ জানতে আগ্রহী এবং তারা আশা করছেন যে, তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটিত হবে।
এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার ব্যাপারে বিভিন্ন মন্তব্য ও আলোচনা চলছে। অনেকেই এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছেন এবং দোষীদের শাস্তির দাবি করছেন। তারা মনে করেন, সমাজে সহিংসতা রোধ করতে হলে আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। এই ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজের জন্য একটি বড় বিপর্যয় এবং এটি আমাদের সকলের জন্য একটি সতর্কবার্তা।
সর্বশেষে, আমরা আশা করি যে, প্রশাসন দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন করবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাওসিফের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল, এবং আমরা আশা করি যে, এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না। আমাদের সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।

