বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বশেষ খবর, খেলা, বিনোদন, রাজনীতি ও বাণিজ্যের আপডেট | TrendTodays: সর্বশেষ
সর্বশেষ:
Showing posts with label সর্বশেষ. Show all posts
Showing posts with label সর্বশেষ. Show all posts

ভোলার বোরহানউদ্দিনে জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদানের খবরটি ভুয়া

11/14/2025 05:38:00 AM 0

ভোলার বোরহানউদ্দিনে জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদানের খবরকে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী।

ভোলা প্রতিনিধি:


বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা জামায়াত জানায়, 

একটি বিশেষ মহল জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দাড়ি টুপিওয়ালা লোকদের জামায়াত বানিয়ে দলে যোগদান করানোর চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে, তারা দাবি করছে যে, এর ফলে ওই রাজনৈতিক দলটি দেউলিয়া হয়ে গেছে, যা বাস্তবতার সাথে মিলে যায়। সংবাদে প্রকাশিত তথাকথিত মাওলানা আবুল ফয়েজ, আব্দুল করিম, আলমগীর ও মোতাহারসহ তাদের সহযোগীরা কেউই জামায়াতের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী নন। তাদের মধ্যে কেউ জামায়াতের সাথে কোনো সম্পর্কও রাখেন না।

এছাড়াও, জামায়াতে ইসলামীতে 'জয়েন্ট সেক্রেটারি' নামক কোনো পদও নেই, যা এই দাবির আরও একটি প্রমাণ। একটি আদর্শিক নিয়ম তান্ত্রিক রাজনৈতিক দলে, মনে চাইলেই রাতারাতি কেউ জামায়াতে ইসলামের নেতা বা কর্মী হতে পারে না। জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে নিয়ম তান্ত্রিক পদ্ধতিতেই জামায়াতে ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত হতে হয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুরআন ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে, যাতে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। জামায়াতের লক্ষ্য হলো একটি ন্যায়সঙ্গত ও সুশাসিত সমাজ গঠন করা, যেখানে সকল মানুষের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা পাবে।

এছাড়াও, জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে। তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং সামাজিক সেবা খাতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে, যা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জামায়াতের নেতৃবৃন্দ বিশ্বাস করেন যে, একটি সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতার উপর ভিত্তি করে কাজ করা অত্যন্ত জরুরি।

তাদের এই প্রচেষ্টা দেশের যুব সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে, যাতে তারা ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে যে, একটি শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনের জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তাই, তারা জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে, যাতে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।

এইভাবে, জামায়াতে ইসলামী তাদের আদর্শ ও নীতির ভিত্তিতে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে এবং তারা আশা করে যে, জনগণ তাদের এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে এবং দেশের উন্নয়নে তাদের সাথে যোগ দেবে।

Read More

রাজশাহীতে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্ত্রী আহতঃ আটক এক

11/14/2025 05:36:00 AM 0

রাজশাহীতে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা: পুরো খবর

রাজশাহী, ১৩ নভেম্বর ২০২৫



রাজশাহীর ডাবতলা এলাকার

স্পার্ক ভিউ ভবনে বৃহস্পতিবার বিকেলে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর হামদের ভাড়া বাসায় হামলা চালিয়ে তাঁর ছেলে তাওসিফ রহমান (হলুদ নাম—সুমন) কে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছে; আটক ব্যক্তির নাম জনৈক লিমন মিয়া (৩৫) বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনার পর পুরো এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলে প্রায় ৩টা-৪টার মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি বাসায় ঢুকে হামলা চালায়। এই সময় তাওসিফের মা তাসমিন নাহারও সেখানে ছিলেন। হামলার সময় তাওসিফকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও চিকিৎসকরা তাওসিফকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তাওসিফ নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে শোক নেমে এসেছে। তাসমিন নাহার গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে রাজাকারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক বক্তব্যে বলা হয়েছে, নিহতের গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে। আঙুলেও ছুরির কাটা চিহ্ন পাওয়া গেছে। এটি ঘটনার ভয়াবহতা নির্দেশ করে।

অভিযুক্ত লিমন মিয়া


স্থানীয় পুলিশ ও তদন্ত কর্মকর্তা জানান যে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি লিমন মিয়া সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তাঁর পেছনের পরিচয় ও সম্ভাব্য উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পুরো কারণ এখনও স্পষ্ট নয়; পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ফোন, ও বাসার অন্যান্য জিনিসপত্র পরীক্ষা করছে। এই তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিচারক মো. আবদুর রহমান ও তাদের পরিবারের সঙ্গে এলাকাবাসী ও স্থানীয় নেতারা ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় জনসাধারণ চাঞ্চল্য ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পুলিশ দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছে।

এদিকে, গুজব ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সম্পর্কে মন্তব্য করে পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে “বিএনপি নেতার ছেলে” বা কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ভিত্তিক অভিযোগের সমর্থন পাওয়া যায়নি; আটক ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তদন্তের পরেই অপর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনগণের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা ও বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে, এবং তারা ঘটনার সঠিক কারণ জানতে আগ্রহী।

এলাকার মানুষজনের মধ্যে এই ঘটনার প্রভাব গভীরভাবে অনুভূত হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, এই ধরনের ঘটনা সমাজে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করে এবং এটি আমাদের সমাজের জন্য একটি বড় সংকেত। স্থানীয় নেতারা এবং সমাজের সচেতন নাগরিকরা একত্রিত হয়ে এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানাচ্ছেন। তারা মনে করেন, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হলে প্রশাসনকে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।

এছাড়া, স্থানীয় স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাওসিফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে এবং তারা মনে করে, এই ধরনের সহিংসতা আমাদের সমাজের জন্য একটি বড় বিপর্যয়। তারা আশা প্রকাশ করেছেন যে, প্রশাসন দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের শাস্তি দেবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই ঘটনার পেছনে আসলে কি কারণ ছিল? কি কারণে লিমন মিয়া এই হামলা চালালেন? পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। স্থানীয় জনগণও এই ঘটনার পেছনের কারণ জানতে আগ্রহী এবং তারা আশা করছেন যে, তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটিত হবে।

এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার ব্যাপারে বিভিন্ন মন্তব্য ও আলোচনা চলছে। অনেকেই এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছেন এবং দোষীদের শাস্তির দাবি করছেন। তারা মনে করেন, সমাজে সহিংসতা রোধ করতে হলে আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। এই ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজের জন্য একটি বড় বিপর্যয় এবং এটি আমাদের সকলের জন্য একটি সতর্কবার্তা।

সর্বশেষে, আমরা আশা করি যে, প্রশাসন দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন করবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাওসিফের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল, এবং আমরা আশা করি যে, এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না। আমাদের সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।

Read More

চট্টগ্রাম: অস্ত্রধারী দেখলে “ব্রাশফায়ার” সিএমপি কমিশনারের নির্দেশ

11/12/2025 12:33:00 AM 0

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দেখা মাত্র গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার







চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে বেতার বার্তায় থানা, ফাঁড়ি ও টহল টিমগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি কেউ অস্ত্র নিয়ে দেখা যায় বা হামলার চেষ্টা করে, তাহলে আত্মরক্ষায় সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালাতে হবে।

তিনি বলেন, “এই নির্দেশ শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।”


কেন এই নির্দেশ:


কমিশনার জানান, ২০২৪ সালের ৬-৮ আগস্ট চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র লুট হয়েছে। অনেক আগ্নেয়াস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। পুলিশ জানে না, এগুলো সন্ত্রাসীদের কাছে গেছে কিনা বা অপরাধে ব্যবহার হচ্ছে কিনা।

তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে নির্বাচনি গণসংযোগে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে যে অটোমেটিক পিস্তল ব্যবহার হয়েছে, সেটি পুলিশের অস্ত্র হতে পারে। যদি আমরা অস্ত্রটি উদ্ধার করতে পারতাম, তাহলে বুঝতে পারতাম এটি আমাদের কি না।”

এই পরিস্থিতিতে কমিশনার নির্দেশ দেন, কেউ যদি হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র হাতে নেয়, তাহলে তাকে গুলি করা হবে। তিনি বলেন, এটি দণ্ডবিধির ৭৫, ৭৬, ৯৬ থেকে ১০৬ ধারায় আইনি ভিত্তি রাখে।


আগেও ছিল এমন নির্দেশ


এআগস্টে সিএমপি কমিশনার বেতার বার্তায় বলেছিলেন, “যদি টহল দলের সামনে কেউ অস্ত্র বের করে, তাহলে আত্মরক্ষায় গুলি চালানো হবে।”

সেই বার্তাটি ভাইরাল হলে তা নিয়ে অনেক আলোচনা ও বিতর্ক হয়েছিল।



মানবাধিকার উদ্বেগ: 


আইন ও মানবাধিকার বিশ্লেষকরা বলছেন, “দেখামাত্র গুলি” বা “ব্রাশফায়ার” নির্দেশ বাস্তবে প্রয়োগ হলে সমস্যা হতে পারে। এতে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ ও মানবাধিকারের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তারা বলছেন, প্রতিটি ঘটনায় সঠিক শনাক্তকরণ, সতর্কবাণী এবং স্বাধীন তদন্তের নিশ্চয়তা থাকা জরুরি।


 পরবর্তী পদক্ষেপ


সিএমপি বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এই বিষয়ে কোনো লিখিত বিজ্ঞপ্তি দেয়নি।

স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নির্দেশনার প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

এরপর আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা আসবে।

সূত্র:

প্রাথমিক প্রতিবেদন: প্রথম আলো, ঢাকাটাইমস২৪, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, দ্য ডেইলি স্টার, যুগান্তর।

স্থানীয় পুলিশ সূত্র ও সিএমপি বেতার বার্তা সম্পর্কিত তথ্য।

Read More

আওয়ামী লীগের সমস্ত মামলা তুলে নেওয়া হবে: ফখরুল ইসলাম আলমগীর

11/12/2025 12:02:00 AM 0

সভায় ফখরুল বলেন, “আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি করতে চাই না। আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মামলায় জর্জরিত করব না। 





 বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত মামলা তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের শাপলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।


সভায় ফখরুল বলেন, “আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি করতে চাই না। আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মামলায় জর্জরিত করব না। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা তুলে নেওয়া হবে।”


তার এ বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর তা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। অনেকেই একে বিএনপির প্রতিশোধহীন রাজনীতির বার্তা হিসেবে দেখছেন।


তবে কিছুক্ষণ পরই ফখরুল এক লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানান, তার বক্তব্য “ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।” তিনি স্পষ্ট করেন, “আমি ঠাকুরগাঁওয়ের একটি ইউনিয়নের নির্দিষ্ট কিছু মামলার প্রসঙ্গে বলেছিলাম। সারাদেশের মামলা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছু বলিনি।”


তিনি আরও বলেন, “আমরা সবসময়ই ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। যেখানে অন্যায়ভাবে মামলা হয়েছে, সেখানে ন্যায়ের পথে চলবো। প্রতিশোধ নয়, জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই আমাদের লক্ষ্য।”


এদিকে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারা বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তারা যেভাবে আইনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে না বলে দাবি করছে, সেটি বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব — তা নিয়ে সন্দেহ আছে।


রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বক্তব্য বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হতে পারে। প্রতিশোধবিহীন রাজনীতির বার্তা দিয়ে দলটি মধ্যপন্থী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে চাইছে। তবে বক্তব্য সংশোধনের পর বিষয়টি নতুন বিতর্কও সৃষ্টি করেছে।


নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘোষণায় রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

Read More

সীমান্তের কাছেই ভারত গড়ল দুটি নতুন সামরিক স্থাপনা,উত্তেজনা বৃদ্ধি

11/08/2025 02:09:00 PM 0

উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ এবং ধুবড়ি, আসামে দ্রুত নির্মাণ কাজ চলছে; নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতির সংকেত।


ঢাকা/নয়াদিল্লি: বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ভারত দ্রুত দুটি নতুন সামরিক স্থাপনা তৈরি করেছে। এই স্থাপনাগুলো উভয় দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলায়। এখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের সামরিক শক্তি বাড়াতে পারবে। অন্যদিকে, আসামের ধুবড়ি জেলায় একটি নতুন সেনা স্টেশন গড়ে তোলা হচ্ছে। এটি সীমান্তের নিরাপত্তা এবং সামরিক কার্যক্রমকে শক্তিশালী করবে।

এই সামরিক স্থাপনাগুলো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই পদক্ষেপ উভয় দেশের সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। ভারত সরকার এই নতুন সামরিক স্থাপনাগুলোর মাধ্যমে সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। তবে, এর ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগও বাড়ছে।

এছাড়া, এই সামরিক স্থাপনাগুলো ভারতকে তার প্রতিরক্ষা কৌশল শক্তিশালী করতে সাহায্য করছে। এটি ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। কারণ এটি ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।


উত্তেজনার পটভূমি:

 সম্প্রতি সিলেট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলার ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাংলাদেশিরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এর পরেই এই সামরিক স্থাপনা তৈরির খবর প্রকাশিত হয়। ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে এই দুটি সামরিক স্থাপনার খবর মাত্র তিন দিনের মধ্যে ভারতীয় গণমাধ্যম 'ডেকান ক্রনিকাল'-এ প্রকাশিত হয়। এই পদক্ষেপটি বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে দ্রুত সময়ে নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সেনা কমান্ডের বার্তা:
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারী নতুন ঘাঁটিটি পরিদর্শন করেন। এই খবর ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসিয়াল এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে প্রকাশ করে।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন: লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারী ধুবড়ির বামনিগাঁও এলাকায় 'লাচিত বরফুকন সামরিক স্টেশন'-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

শক্তিশালীকরণ: ইস্টার্ন কমান্ড জানায়, নতুন এই সামরিক স্টেশন প্রতিষ্ঠা অঞ্চলটির সেনা সক্ষমতা ও অবকাঠামোকে শক্তিশালী করবে।

প্রস্তুতি বজায় রাখার আহ্বান: জেনারেল তিওয়ারী সৈন্যদের দ্রুত ঘাঁটি স্থাপনের জন্য প্রশংসা করেন। তিনি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।

এর আগে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারী স্থানীয় বিধায়ক হামিদুর রহমান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এই সামরিক প্রস্তুতি বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করার ভারতীয় কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি দুই প্রতিবেশীর মধ্যেকার সীমান্ত সম্পর্ককে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।

Read More

প্রলোভনে উ/ত্ত্য/ক্ততা, রংপুরে বৃদ্ধকে ধরিয়ে দিলেন ভুক্তভোগীর স্বামী

10/01/2025 08:12:00 AM 0

 প্রলোভনে প্রতারিত হয়ে রংপুরে বৃদ্ধকে ধরিয়ে দিলেন ভুক্তভোগীর স্বামী।


​রংপুর: ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে উ/ত্ত্য/ক্ত করার অভিযোগে রংপুরের খামার মোড় এলাকা থেকে এক বয়স্ক ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীর স্বামীর সাহসিকতা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনা আবারও অপরিচিতদের কাছ থেকে আসা 'ভালো অফার' এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।


​চাকরির লোভ দেখিয়ে নম্বর, এরপরই শুরু উ/ত্ত্য/ক্ততা


ভুক্তভোগী নারীর স্বামী তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরো ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, রংপুরের খামার মোড়ে কাজের কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মহিলার যাতায়াত ঘটে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অভিযুক্ত বৃদ্ধ তাঁর স্ত্রীর কাছে আসেন এবং চাকরির প্রস্তাব দিয়ে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন।

প্রথমে, ওই নারী মনে করেছিলেন যে ব্যক্তিটি বয়স্ক হওয়ায় নম্বর দিলে বিশেষ কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু নম্বর পাওয়ার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের আসল রূপ প্রকাশ করতে শুরু করেন। ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, "সেই বৃদ্ধ প্রতি রাতেই খারাপ প্রস্তাব দিতে থাকে এবং 'তুমি খুব সুন্দর' সহ নানা ধরনের কথা বলে। ভালো চাকরি ও টাকা-পয়সা পাওয়ার কথাও বলে।"

ভুক্তভোগী নারী বিষয়টি গোপন না রেখে দ্রুত তাঁর স্বামীকে সমস্ত ঘটনা জানান। এরপর স্বামী-স্ত্রী দুজনেই স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরার পরিকল্পনা করেন। শেষ পর্যন্ত স্থানীয়দের সহায়তায় ওই বৃদ্ধকে আটক করা হয় এবং তাঁকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

ভুক্তভোগীর স্বামী সকলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, "এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এ ধরনের মানুষের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত এবং তাদের সঙ্গে চাকরি বা বিভিন্ন প্রয়োজনে দেখা করতে যাওয়ার সময় অবশ্যই বিশ্বস্ত একজন পুরুষ মানুষ সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।"

​আমাদের জন্য শিক্ষা: নিরাপত্তা আগে


এই ঘটনা আমাদের সমাজে একটি শক্তিশালী বার্তা দেয়। বয়স বা বাহ্যিক অবস্থা দেখে কারো উদ্দেশ্য বিচার করা ঠিক নয়। বিশেষ করে যখন কেউ চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ব্যক্তিগত মন্তব্য করে বা গোপনীয় তথ্য চায়, তখন আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
গোপনীয়তা বজায় রাখুন: অপরিচিত বা সন্দেহজনক কাউকে সহজে আপনার মোবাইল নম্বর দেবেন না। আপনার ফোন নম্বর, ঠিকানা বা অন্য গোপনীয় তথ্য শেয়ার করার আগে ভালোভাবে চিন্তা করুন। মনে রাখবেন, আপনার নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

প্রকাশ্যে দেখা করুন: চাকরির জন্য কারো সঙ্গে দেখা করতে হলে একটি জনবহুল ও নিরাপদ স্থান বেছে নিন। কখনোই ব্যক্তিগত বা নির্জন স্থানে যাবেন না। জনসমক্ষে দেখা করলে আপনি নিরাপদ থাকবেন এবং অন্যদের উপস্থিতি আপনাকে সুরক্ষা দেবে।

সাহায্য নিন: যদি কোনো হেনস্থার শিকার হন বা অস্বস্তি বোধ করেন, দ্রুত পরিবার, বন্ধু বা পুলিশের সাহায্য নিন। আপনার নিরাপত্তা এবং মানসিক শান্তি নিশ্চিত করা জরুরি। মনে রাখবেন, আপনি একা নন এবং সাহায্য করার জন্য অনেকেই আছেন।

রংপুরের এই ঘটনা নারী সুরক্ষার প্রশ্নে নতুন আলোচনা শুরু করেছে। এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, নারীদের সুরক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের সবাইকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।

নারীদের প্রতি সহিংসতা এবং হেনস্থার বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। আমাদের উচিত নারীদের প্রতি সম্মান দেখানো এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া। এই ঘটনা আমাদের সমাজের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, এবং আমাদের উচিত এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা।

আমাদের উচিত নারীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে তারা নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারে এবং স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। যদি আমরা একসাথে কাজ করি, তাহলে আমরা একটি নিরাপদ সমাজ গড়ে তুলতে পারব।

সুতরাং, আসুন আমরা সবাই মিলে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সচেষ্ট হই। আমাদের সমাজের প্রতিটি সদস্যের উচিত নারীদের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন প্রদর্শন করা, যাতে তারা নিরাপদে এবং সম্মানের সাথে জীবনযাপন করতে পারে।

Read More