চট্টগ্রাম: অস্ত্রধারী দেখলে “ব্রাশফায়ার” সিএমপি কমিশনারের নির্দেশ - বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বশেষ খবর, খেলা, বিনোদন, রাজনীতি ও বাণিজ্যের আপডেট | TrendTodays
সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম: অস্ত্রধারী দেখলে “ব্রাশফায়ার” সিএমপি কমিশনারের নির্দেশ

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দেখা মাত্র গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার







চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে বেতার বার্তায় থানা, ফাঁড়ি ও টহল টিমগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি কেউ অস্ত্র নিয়ে দেখা যায় বা হামলার চেষ্টা করে, তাহলে আত্মরক্ষায় সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালাতে হবে।

তিনি বলেন, “এই নির্দেশ শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।”


কেন এই নির্দেশ:


কমিশনার জানান, ২০২৪ সালের ৬-৮ আগস্ট চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র লুট হয়েছে। অনেক আগ্নেয়াস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। পুলিশ জানে না, এগুলো সন্ত্রাসীদের কাছে গেছে কিনা বা অপরাধে ব্যবহার হচ্ছে কিনা।

তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে নির্বাচনি গণসংযোগে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে যে অটোমেটিক পিস্তল ব্যবহার হয়েছে, সেটি পুলিশের অস্ত্র হতে পারে। যদি আমরা অস্ত্রটি উদ্ধার করতে পারতাম, তাহলে বুঝতে পারতাম এটি আমাদের কি না।”

এই পরিস্থিতিতে কমিশনার নির্দেশ দেন, কেউ যদি হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র হাতে নেয়, তাহলে তাকে গুলি করা হবে। তিনি বলেন, এটি দণ্ডবিধির ৭৫, ৭৬, ৯৬ থেকে ১০৬ ধারায় আইনি ভিত্তি রাখে।


আগেও ছিল এমন নির্দেশ


এআগস্টে সিএমপি কমিশনার বেতার বার্তায় বলেছিলেন, “যদি টহল দলের সামনে কেউ অস্ত্র বের করে, তাহলে আত্মরক্ষায় গুলি চালানো হবে।”

সেই বার্তাটি ভাইরাল হলে তা নিয়ে অনেক আলোচনা ও বিতর্ক হয়েছিল।



মানবাধিকার উদ্বেগ: 


আইন ও মানবাধিকার বিশ্লেষকরা বলছেন, “দেখামাত্র গুলি” বা “ব্রাশফায়ার” নির্দেশ বাস্তবে প্রয়োগ হলে সমস্যা হতে পারে। এতে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ ও মানবাধিকারের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তারা বলছেন, প্রতিটি ঘটনায় সঠিক শনাক্তকরণ, সতর্কবাণী এবং স্বাধীন তদন্তের নিশ্চয়তা থাকা জরুরি।


 পরবর্তী পদক্ষেপ


সিএমপি বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এই বিষয়ে কোনো লিখিত বিজ্ঞপ্তি দেয়নি।

স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নির্দেশনার প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

এরপর আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা আসবে।

সূত্র:

প্রাথমিক প্রতিবেদন: প্রথম আলো, ঢাকাটাইমস২৪, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, দ্য ডেইলি স্টার, যুগান্তর।

স্থানীয় পুলিশ সূত্র ও সিএমপি বেতার বার্তা সম্পর্কিত তথ্য।

No comments:

Post a Comment