বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বশেষ খবর, খেলা, বিনোদন, রাজনীতি ও বাণিজ্যের আপডেট | TrendTodays: বাংলাদেশ
সর্বশেষ:
Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts
Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts

ভোলার বোরহানউদ্দিনে জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদানের খবরটি ভুয়া

11/14/2025 05:38:00 AM 0

ভোলার বোরহানউদ্দিনে জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদানের খবরকে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী।

ভোলা প্রতিনিধি:


বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা জামায়াত জানায়, 

একটি বিশেষ মহল জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দাড়ি টুপিওয়ালা লোকদের জামায়াত বানিয়ে দলে যোগদান করানোর চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে, তারা দাবি করছে যে, এর ফলে ওই রাজনৈতিক দলটি দেউলিয়া হয়ে গেছে, যা বাস্তবতার সাথে মিলে যায়। সংবাদে প্রকাশিত তথাকথিত মাওলানা আবুল ফয়েজ, আব্দুল করিম, আলমগীর ও মোতাহারসহ তাদের সহযোগীরা কেউই জামায়াতের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী নন। তাদের মধ্যে কেউ জামায়াতের সাথে কোনো সম্পর্কও রাখেন না।

এছাড়াও, জামায়াতে ইসলামীতে 'জয়েন্ট সেক্রেটারি' নামক কোনো পদও নেই, যা এই দাবির আরও একটি প্রমাণ। একটি আদর্শিক নিয়ম তান্ত্রিক রাজনৈতিক দলে, মনে চাইলেই রাতারাতি কেউ জামায়াতে ইসলামের নেতা বা কর্মী হতে পারে না। জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে নিয়ম তান্ত্রিক পদ্ধতিতেই জামায়াতে ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত হতে হয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুরআন ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে, যাতে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। জামায়াতের লক্ষ্য হলো একটি ন্যায়সঙ্গত ও সুশাসিত সমাজ গঠন করা, যেখানে সকল মানুষের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা পাবে।

এছাড়াও, জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে। তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং সামাজিক সেবা খাতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে, যা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জামায়াতের নেতৃবৃন্দ বিশ্বাস করেন যে, একটি সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতার উপর ভিত্তি করে কাজ করা অত্যন্ত জরুরি।

তাদের এই প্রচেষ্টা দেশের যুব সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে, যাতে তারা ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে যে, একটি শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনের জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তাই, তারা জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে, যাতে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।

এইভাবে, জামায়াতে ইসলামী তাদের আদর্শ ও নীতির ভিত্তিতে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে এবং তারা আশা করে যে, জনগণ তাদের এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে এবং দেশের উন্নয়নে তাদের সাথে যোগ দেবে।

Read More

রাজশাহীতে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্ত্রী আহতঃ আটক এক

11/14/2025 05:36:00 AM 0

রাজশাহীতে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা: পুরো খবর

রাজশাহী, ১৩ নভেম্বর ২০২৫



রাজশাহীর ডাবতলা এলাকার

স্পার্ক ভিউ ভবনে বৃহস্পতিবার বিকেলে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর হামদের ভাড়া বাসায় হামলা চালিয়ে তাঁর ছেলে তাওসিফ রহমান (হলুদ নাম—সুমন) কে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছে; আটক ব্যক্তির নাম জনৈক লিমন মিয়া (৩৫) বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনার পর পুরো এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলে প্রায় ৩টা-৪টার মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি বাসায় ঢুকে হামলা চালায়। এই সময় তাওসিফের মা তাসমিন নাহারও সেখানে ছিলেন। হামলার সময় তাওসিফকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও চিকিৎসকরা তাওসিফকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তাওসিফ নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে শোক নেমে এসেছে। তাসমিন নাহার গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে রাজাকারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক বক্তব্যে বলা হয়েছে, নিহতের গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে। আঙুলেও ছুরির কাটা চিহ্ন পাওয়া গেছে। এটি ঘটনার ভয়াবহতা নির্দেশ করে।

অভিযুক্ত লিমন মিয়া


স্থানীয় পুলিশ ও তদন্ত কর্মকর্তা জানান যে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি লিমন মিয়া সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তাঁর পেছনের পরিচয় ও সম্ভাব্য উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পুরো কারণ এখনও স্পষ্ট নয়; পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ফোন, ও বাসার অন্যান্য জিনিসপত্র পরীক্ষা করছে। এই তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিচারক মো. আবদুর রহমান ও তাদের পরিবারের সঙ্গে এলাকাবাসী ও স্থানীয় নেতারা ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় জনসাধারণ চাঞ্চল্য ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পুলিশ দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছে।

এদিকে, গুজব ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সম্পর্কে মন্তব্য করে পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে “বিএনপি নেতার ছেলে” বা কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ভিত্তিক অভিযোগের সমর্থন পাওয়া যায়নি; আটক ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তদন্তের পরেই অপর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনগণের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা ও বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে, এবং তারা ঘটনার সঠিক কারণ জানতে আগ্রহী।

এলাকার মানুষজনের মধ্যে এই ঘটনার প্রভাব গভীরভাবে অনুভূত হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, এই ধরনের ঘটনা সমাজে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করে এবং এটি আমাদের সমাজের জন্য একটি বড় সংকেত। স্থানীয় নেতারা এবং সমাজের সচেতন নাগরিকরা একত্রিত হয়ে এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানাচ্ছেন। তারা মনে করেন, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হলে প্রশাসনকে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।

এছাড়া, স্থানীয় স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাওসিফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে এবং তারা মনে করে, এই ধরনের সহিংসতা আমাদের সমাজের জন্য একটি বড় বিপর্যয়। তারা আশা প্রকাশ করেছেন যে, প্রশাসন দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের শাস্তি দেবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই ঘটনার পেছনে আসলে কি কারণ ছিল? কি কারণে লিমন মিয়া এই হামলা চালালেন? পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। স্থানীয় জনগণও এই ঘটনার পেছনের কারণ জানতে আগ্রহী এবং তারা আশা করছেন যে, তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটিত হবে।

এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার ব্যাপারে বিভিন্ন মন্তব্য ও আলোচনা চলছে। অনেকেই এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছেন এবং দোষীদের শাস্তির দাবি করছেন। তারা মনে করেন, সমাজে সহিংসতা রোধ করতে হলে আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। এই ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজের জন্য একটি বড় বিপর্যয় এবং এটি আমাদের সকলের জন্য একটি সতর্কবার্তা।

সর্বশেষে, আমরা আশা করি যে, প্রশাসন দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন করবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাওসিফের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল, এবং আমরা আশা করি যে, এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না। আমাদের সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।

Read More

চট্টগ্রাম: অস্ত্রধারী দেখলে “ব্রাশফায়ার” সিএমপি কমিশনারের নির্দেশ

11/12/2025 12:33:00 AM 0

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দেখা মাত্র গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার







চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে বেতার বার্তায় থানা, ফাঁড়ি ও টহল টিমগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি কেউ অস্ত্র নিয়ে দেখা যায় বা হামলার চেষ্টা করে, তাহলে আত্মরক্ষায় সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালাতে হবে।

তিনি বলেন, “এই নির্দেশ শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।”


কেন এই নির্দেশ:


কমিশনার জানান, ২০২৪ সালের ৬-৮ আগস্ট চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র লুট হয়েছে। অনেক আগ্নেয়াস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। পুলিশ জানে না, এগুলো সন্ত্রাসীদের কাছে গেছে কিনা বা অপরাধে ব্যবহার হচ্ছে কিনা।

তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে নির্বাচনি গণসংযোগে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে যে অটোমেটিক পিস্তল ব্যবহার হয়েছে, সেটি পুলিশের অস্ত্র হতে পারে। যদি আমরা অস্ত্রটি উদ্ধার করতে পারতাম, তাহলে বুঝতে পারতাম এটি আমাদের কি না।”

এই পরিস্থিতিতে কমিশনার নির্দেশ দেন, কেউ যদি হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র হাতে নেয়, তাহলে তাকে গুলি করা হবে। তিনি বলেন, এটি দণ্ডবিধির ৭৫, ৭৬, ৯৬ থেকে ১০৬ ধারায় আইনি ভিত্তি রাখে।


আগেও ছিল এমন নির্দেশ


এআগস্টে সিএমপি কমিশনার বেতার বার্তায় বলেছিলেন, “যদি টহল দলের সামনে কেউ অস্ত্র বের করে, তাহলে আত্মরক্ষায় গুলি চালানো হবে।”

সেই বার্তাটি ভাইরাল হলে তা নিয়ে অনেক আলোচনা ও বিতর্ক হয়েছিল।



মানবাধিকার উদ্বেগ: 


আইন ও মানবাধিকার বিশ্লেষকরা বলছেন, “দেখামাত্র গুলি” বা “ব্রাশফায়ার” নির্দেশ বাস্তবে প্রয়োগ হলে সমস্যা হতে পারে। এতে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ ও মানবাধিকারের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তারা বলছেন, প্রতিটি ঘটনায় সঠিক শনাক্তকরণ, সতর্কবাণী এবং স্বাধীন তদন্তের নিশ্চয়তা থাকা জরুরি।


 পরবর্তী পদক্ষেপ


সিএমপি বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এই বিষয়ে কোনো লিখিত বিজ্ঞপ্তি দেয়নি।

স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নির্দেশনার প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

এরপর আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা আসবে।

সূত্র:

প্রাথমিক প্রতিবেদন: প্রথম আলো, ঢাকাটাইমস২৪, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, দ্য ডেইলি স্টার, যুগান্তর।

স্থানীয় পুলিশ সূত্র ও সিএমপি বেতার বার্তা সম্পর্কিত তথ্য।

Read More

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন: এবার প্রার্থীকে সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগ পাচ্ছেন ভোটাররা, আসছে ‘ভোটের সাথী’ অ্যাপ

11/09/2025 02:07:00 PM 0

 

দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তিনির্ভর নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।

 আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে চলেছে বিশেষ একটি নির্বাচনী অ্যাপ্লিকেশন

যার নাম ‘ভোটের সাথী’। এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ভোটাররা তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীদের সরাসরি প্রশ্ন করার এবং তাদের সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানার সুযোগ পাবেন।
এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি প্রার্থী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ এবং জবাবদিহিতার একটি নতুন ক্ষেত্র তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারের আইসিটি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এই অত্যাধুনিক অ্যাপটি তৈরি করছে। এটিকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বাস্তবায়নে সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই অ্যাপটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন এবং এর বাস্তবায়নে সরকারের কোনো অতিরিক্ত আর্থিক ব্যয় হবে না। এটি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ে ভোটারদের প্রযুক্তিভিত্তিক সেতুবন্ধ তৈরি করবে।
সুশীল সমাজ ও নির্বাচন বিশ্লেষকরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের মতে, এটি একটি সুচিন্তিত পদক্ষেপ। আগে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহার শুধু দলীয় প্রচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত, কিন্তু এখন সরাসরি প্রশ্নের সুযোগ থাকায় প্রার্থীরা জনকল্যাণ ও নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আরও বেশি সচেতন থাকবেন।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল আলীমের অভিমত, এই অ্যাপ ডিজিটাল যুগে প্রার্থী ও ভোটারের সংযোগ বাড়িয়ে সংঘাত কমাবে এবং নির্বাচনের পরেও জনসেবার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

অ্যাপের ৬টি মূল বৈশিষ্ট্য:

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার ভিত্তিতে তৈরি ‘ভোটের সাথী’ অ্যাপের অনলাইন ও মোবাইল সংস্করণে মোট ছয় ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ফিচার সন্নিবেশিত হয়েছে:
১. প্রার্থীর বিস্তারিত তথ্য প্রদর্শন: প্রার্থীর হলফনামা, সম্পদের বিবরণী, আয়কর তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, রাজনৈতিক পরিচিতি এবং নির্বাচনী ইশতেহার— সব তথ্য ভোটারদের জন্য প্রদর্শিত হবে।
২. সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগ: ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সরাসরি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং প্রার্থীরা সেগুলোর উত্তর দিতে পারবেন।
৩. ভোটকেন্দ্রের তথ্য: নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রের অবস্থান ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য খুব সহজে জানা যাবে।
৪. অনিয়ম রিপোর্ট: ভোট চলাকালীন বা প্রচারণায় কোনো ধরনের অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তা দ্রুত অ্যাপের মাধ্যমে রিপোর্ট করা যাবে।
৫. তথ্যের সত্যতা যাচাই: ফ্যাক্ট-চেকিং এবং মনিটরিং সংস্থাগুলো অ্যাপে প্রদর্শিত প্রার্থীর তথ্য যাচাই-বাছাই করতে পারবে।
৬. পৃথক ড্যাশবোর্ড: ব্যবহারকারীদের জন্য একটি পৃথক ড্যাশবোর্ড থাকবে, যেখানে তারা ভোটের অনিয়ম এবং প্রার্থীর প্রতিশ্রুতিগুলো লিপিবদ্ধ ও পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

অ্যাপটির সফল কার্যকারিতার জন্য আইসিটি বিভাগ নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রার্থীদের সম্পদ বিবরণী, 

হলফনামা, আসনভিত্তিক তালিকা, ভোটার তথ্য এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত সংবেদনশীল ডেটা চেয়েছে।
তবে, নির্বাচন কমিশনের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ইসির ডেটাগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠান বা ভেন্ডরকে এসব তথ্য সরাসরি অ্যাক্সেস দেওয়া নিয়ে ইসির অভ্যন্তরে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে। নিরাপত্তা বজায় রেখে তথ্য সরবরাহে কিছু বাস্তব সমস্যা ও ঝুঁকি তুলে ধরেছে কমিশন। তবে, সীমিত সময়ের জন্য ভিপিএন (VPN)-এর মাধ্যমে সীমিত অ্যাক্সেস দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, অ্যাপসটির পরীক্ষামূলক যাচাই-বাছাই শেষে আইসিটি বিভাগ এটির মেধাস্বত্ব (Intellectual Property), সোর্সকোডসহ সকল কারিগরি দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করবে এবং কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে।

Read More

সীমান্তের কাছেই ভারত গড়ল দুটি নতুন সামরিক স্থাপনা,উত্তেজনা বৃদ্ধি

11/08/2025 02:09:00 PM 0

উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ এবং ধুবড়ি, আসামে দ্রুত নির্মাণ কাজ চলছে; নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতির সংকেত।


ঢাকা/নয়াদিল্লি: বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ভারত দ্রুত দুটি নতুন সামরিক স্থাপনা তৈরি করেছে। এই স্থাপনাগুলো উভয় দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলায়। এখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের সামরিক শক্তি বাড়াতে পারবে। অন্যদিকে, আসামের ধুবড়ি জেলায় একটি নতুন সেনা স্টেশন গড়ে তোলা হচ্ছে। এটি সীমান্তের নিরাপত্তা এবং সামরিক কার্যক্রমকে শক্তিশালী করবে।

এই সামরিক স্থাপনাগুলো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই পদক্ষেপ উভয় দেশের সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। ভারত সরকার এই নতুন সামরিক স্থাপনাগুলোর মাধ্যমে সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। তবে, এর ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগও বাড়ছে।

এছাড়া, এই সামরিক স্থাপনাগুলো ভারতকে তার প্রতিরক্ষা কৌশল শক্তিশালী করতে সাহায্য করছে। এটি ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। কারণ এটি ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।


উত্তেজনার পটভূমি:

 সম্প্রতি সিলেট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলার ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাংলাদেশিরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এর পরেই এই সামরিক স্থাপনা তৈরির খবর প্রকাশিত হয়। ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে এই দুটি সামরিক স্থাপনার খবর মাত্র তিন দিনের মধ্যে ভারতীয় গণমাধ্যম 'ডেকান ক্রনিকাল'-এ প্রকাশিত হয়। এই পদক্ষেপটি বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে দ্রুত সময়ে নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সেনা কমান্ডের বার্তা:
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারী নতুন ঘাঁটিটি পরিদর্শন করেন। এই খবর ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসিয়াল এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে প্রকাশ করে।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন: লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারী ধুবড়ির বামনিগাঁও এলাকায় 'লাচিত বরফুকন সামরিক স্টেশন'-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

শক্তিশালীকরণ: ইস্টার্ন কমান্ড জানায়, নতুন এই সামরিক স্টেশন প্রতিষ্ঠা অঞ্চলটির সেনা সক্ষমতা ও অবকাঠামোকে শক্তিশালী করবে।

প্রস্তুতি বজায় রাখার আহ্বান: জেনারেল তিওয়ারী সৈন্যদের দ্রুত ঘাঁটি স্থাপনের জন্য প্রশংসা করেন। তিনি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।

এর আগে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারী স্থানীয় বিধায়ক হামিদুর রহমান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এই সামরিক প্রস্তুতি বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করার ভারতীয় কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি দুই প্রতিবেশীর মধ্যেকার সীমান্ত সম্পর্ককে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।

Read More

ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থী

11/04/2025 07:12:00 PM 0
 

একজন সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় ভোটার প্রতি ১০ টাকা হার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর থেকে বেশি খরচ করলে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

#### সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় এ অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করে। এবারের সংশোধনায় নির্বাচনী ব্যয় ও রাজনৈতিক দলের অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং সঠিকতা বজায় রাখার জন্য এই নতুন আইনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণের মাধ্যমে প্রার্থীদের খরচের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ভোটারদের জন্য একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে। এর ফলে, প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় অতিরিক্ত খরচ করতে পারবেন না, যা নির্বাচনের সুষ্ঠুতা এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
এছাড়াও, অনুদান হিসেবে প্রাপ্ত অর্থের বিস্তারিত তালিকা প্রকাশের জন্য বিশেষভাবে নির্দেশনা যোগ করা হয়েছে, যা প্রার্থীরা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবেন। এই পদক্ষেপটি রাজনৈতিক দলের অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। প্রার্থীদের জন্য তাদের অর্থের উৎস এবং ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা ভোটারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে।
চূড়ান্ত আরপিও-র অনুচ্ছেদ ৪৪-এ নতুন সংযোজন অনুসারে, প্রার্থীর নির্বাচনি ব্যয় ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নতুন নিয়মের ফলে, প্রার্থীদের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি হবে এবং তারা তাদের প্রচারণার জন্য সঠিকভাবে পরিকল্পনা করতে সক্ষম হবেন।
এছাড়াও, অনুচ্ছেদ ১৩-এ প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা জামানত, যা আগে ২০ হাজার টাকা ছিল। এই জামানতের পরিমাণ বাড়ানোর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের জন্য একটি বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে, যা তাদের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য আরও দায়িত্বশীল হতে উৎসাহিত করবে।
এ পদক্ষেপের মাধ্যমে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ায় সমতা নিশ্চিত করা হবে বলে আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এই ধরনের পরিবর্তনগুলি ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরি করবে এবং নির্বাচনের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়াবে।
নির্বাচন কমিশন আশা করছে যে, এই নতুন নিয়মাবলী প্রার্থীদের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি করবে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করে তুলবে। ভোটারদের জন্য এটি একটি ইতিবাচক পরিবর্তন, কারণ তারা এখন জানেন যে, প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় কতটা খরচ করতে পারবেন এবং তাদের অর্থের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবেন।
এছাড়াও, রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যও এই নতুন নিয়মাবলী একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে, কারণ তাদেরকে তাদের অর্থের ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছভাবে করতে হবে। এটি রাজনৈতিক দলের জন্য একটি নতুন দায়িত্ব এবং তারা যদি এই দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সার্বিকভাবে, এই নতুন আইনটি বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী এবং স্বচ্ছ করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরি করবে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকরী ও সুষ্ঠু করে তুলবে। আইন মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশন উভয়ই আশা করছেন যে, এই পরিবর্তনগুলি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করবে এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষায় সহায়ক হবে।
Read More

জামায়াত আমিরের প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন বিএনপির যে প্রার্থী

11/03/2025 10:57:00 PM 0

 ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ২৩৭টি সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নাম রয়েছে, যা দলের পরিকল্পনা বোঝায়। ঢাকা-১৫ আসনে ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন শফিকুল ইসলাম খান মিল্টন। তিনি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এই আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকেও শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে লড়বেন ডা. শফিকুর রহমান। এটি নির্বাচনী প্রতিযোগিতাকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করবে।

আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, "আমরা আমাদের প্রার্থীদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আমাদের লক্ষ্য হলো জনগণের আস্থা অর্জন করা।"

এর আগে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত হয়। এই বৈঠকে নেতারা নির্বাচনী কৌশল এবং প্রচারণার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তারা নিশ্চিত করেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিএনপি জনগণের জন্য শক্তিশালী বিকল্প হবে।

এছাড়া, বিএনপি নেতারা নির্বাচনের আগে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। তারা মনে করেন, জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল সফল হতে পারে না। তাই, বিএনপি তাদের প্রচারণায় জনগণের সাথে যোগাযোগ করতে চায় এবং তাদের সমস্যাগুলো শোনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

এভাবে, বিএনপি আগামী নির্বাচনে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে চায় এবং জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য কাজ করবে।


মির্জা ফখরুল বলেন,

দীর্ঘ ১৬ বছর পর, আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন হবে। এটি আমাদের দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই নির্বাচনে প্রায় ২৩৭টি আসনে প্রার্থীদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। এটি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জন্য একটি বড় সুযোগ। বিশেষ করে, যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীরা প্রার্থী হবে, সেগুলোতে বিএনপি সমন্বয় করবে। এটি রাজনৈতিক ঐক্য এবং সহযোগিতার প্রতীক।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এই নেতারা নির্বাচনের গুরুত্ব এবং ভোটের অধিকার রক্ষার বিষয়ে আলোচনা করেন।

তারা বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। বিএনপি তাদের প্রার্থীদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করছে। জনগণের সমর্থন পেতে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি নেবে।

তারা আশা প্রকাশ করেছেন, এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির নতুন দিগন্ত খুলবে। এটি দেশের ভবিষ্যৎকে আলোকিত করবে।

Read More

Anwar Tv, Cyber 71 পর এবার "ইসলামি ব্যাংকের" অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যা'ক করছে ভা'রতী'য় হ্যা'কা'ররা!

10/03/2025 07:28:00 AM 0

Anwar Tv, Cyber 71  পর এবার "ইসলামি ব্যাংকের" অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যা'ক করছে ভা'রতী'য় হ্যা'কা'ররা! 


ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ কিছুদিন আগেই এস আলম দ্বারা অ'বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ২০০ কর্মকর্তা কর্মচারীকে ব'হিষ্কার ও ৪৯৭১ জনকে ওএসডি করেছিলো।

-তার প্র'তিশো'ধ নিতেই কি ভা'র'ত ইসলামী ব্যাংকের বি'রু'দ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে!
অস্বাভাবিক ভাবে ভা'র'ত বি'রো'ধী ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান, ও সংগঠনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজগুলা নিয়'ন্ত্রণে নিয়ে নিচ্ছে কথিত হ্য'কা'ররা।

অনেকের ধারণা ফেসবুকে কর্মরত ভা'র'তীয় অফিসারদের যো'গসাজো'সে  নি'য়ন্ত্রণ হারাচ্ছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠনের ফে'সবুক অফিসিয়াল পেজগুলো। 
হ্যাকাররা পেজটি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর পোস্ট করে লিখেন :

বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংকের তৎপর কর্তৃপক্ষের অনৈতিক ও অন্যায় আচরণে MS 470X তাদের পেইজে নিয়ন্ত্রন নিয়েছে। হাজার হাজার কর্মীর ভবিষ্যৎ রক্ষা করা হবে। অবিলম্বে অন্যায় চাকরিচ্যুতির উপর পুনর্বিবেচনা ঘোষণা করা হোক।

বাংলাদেশ সহ কয়েকটি দেশের ফে'সবু'কের মূল নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ভা'রতে হওয়ায় (প্রধানত চেন্নাই/মুম্বাই অঞ্চল) খুব সহজেই ব্লু ভে'রিফা'ইড পে'জগুলাও নি'য়ন্ত্রণে নিয়ে নিচ্ছে কথিত হ্যা'কার'রা।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ - আপনার আমানত রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,  তাদের ফেসবুক পেজের সাথে ইসলামী ব্যাংকের সার্ভার বা সিস্টেমের কোনো সম্পর্ক নাই।

আপনার আমানত সম্পূর্ণ ভাবে সুরক্ষিত যা কখনোই হ্যা'ক করা সম্ভব না।

ইসলামী ব্যাংকের সকল গ্রাহককে বি'ভ্রা'ন্ত না হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।  ধন্যবাদ 

(পাঠক এর ফেসবুক ওয়াল থেকে সংগ্রহীত)



Read More

প্রলোভনে উ/ত্ত্য/ক্ততা, রংপুরে বৃদ্ধকে ধরিয়ে দিলেন ভুক্তভোগীর স্বামী

10/01/2025 08:12:00 AM 0

 প্রলোভনে প্রতারিত হয়ে রংপুরে বৃদ্ধকে ধরিয়ে দিলেন ভুক্তভোগীর স্বামী।


​রংপুর: ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে উ/ত্ত্য/ক্ত করার অভিযোগে রংপুরের খামার মোড় এলাকা থেকে এক বয়স্ক ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীর স্বামীর সাহসিকতা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনা আবারও অপরিচিতদের কাছ থেকে আসা 'ভালো অফার' এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।


​চাকরির লোভ দেখিয়ে নম্বর, এরপরই শুরু উ/ত্ত্য/ক্ততা


ভুক্তভোগী নারীর স্বামী তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরো ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, রংপুরের খামার মোড়ে কাজের কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মহিলার যাতায়াত ঘটে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অভিযুক্ত বৃদ্ধ তাঁর স্ত্রীর কাছে আসেন এবং চাকরির প্রস্তাব দিয়ে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন।

প্রথমে, ওই নারী মনে করেছিলেন যে ব্যক্তিটি বয়স্ক হওয়ায় নম্বর দিলে বিশেষ কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু নম্বর পাওয়ার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের আসল রূপ প্রকাশ করতে শুরু করেন। ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, "সেই বৃদ্ধ প্রতি রাতেই খারাপ প্রস্তাব দিতে থাকে এবং 'তুমি খুব সুন্দর' সহ নানা ধরনের কথা বলে। ভালো চাকরি ও টাকা-পয়সা পাওয়ার কথাও বলে।"

ভুক্তভোগী নারী বিষয়টি গোপন না রেখে দ্রুত তাঁর স্বামীকে সমস্ত ঘটনা জানান। এরপর স্বামী-স্ত্রী দুজনেই স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরার পরিকল্পনা করেন। শেষ পর্যন্ত স্থানীয়দের সহায়তায় ওই বৃদ্ধকে আটক করা হয় এবং তাঁকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

ভুক্তভোগীর স্বামী সকলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, "এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এ ধরনের মানুষের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত এবং তাদের সঙ্গে চাকরি বা বিভিন্ন প্রয়োজনে দেখা করতে যাওয়ার সময় অবশ্যই বিশ্বস্ত একজন পুরুষ মানুষ সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।"

​আমাদের জন্য শিক্ষা: নিরাপত্তা আগে


এই ঘটনা আমাদের সমাজে একটি শক্তিশালী বার্তা দেয়। বয়স বা বাহ্যিক অবস্থা দেখে কারো উদ্দেশ্য বিচার করা ঠিক নয়। বিশেষ করে যখন কেউ চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ব্যক্তিগত মন্তব্য করে বা গোপনীয় তথ্য চায়, তখন আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
গোপনীয়তা বজায় রাখুন: অপরিচিত বা সন্দেহজনক কাউকে সহজে আপনার মোবাইল নম্বর দেবেন না। আপনার ফোন নম্বর, ঠিকানা বা অন্য গোপনীয় তথ্য শেয়ার করার আগে ভালোভাবে চিন্তা করুন। মনে রাখবেন, আপনার নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

প্রকাশ্যে দেখা করুন: চাকরির জন্য কারো সঙ্গে দেখা করতে হলে একটি জনবহুল ও নিরাপদ স্থান বেছে নিন। কখনোই ব্যক্তিগত বা নির্জন স্থানে যাবেন না। জনসমক্ষে দেখা করলে আপনি নিরাপদ থাকবেন এবং অন্যদের উপস্থিতি আপনাকে সুরক্ষা দেবে।

সাহায্য নিন: যদি কোনো হেনস্থার শিকার হন বা অস্বস্তি বোধ করেন, দ্রুত পরিবার, বন্ধু বা পুলিশের সাহায্য নিন। আপনার নিরাপত্তা এবং মানসিক শান্তি নিশ্চিত করা জরুরি। মনে রাখবেন, আপনি একা নন এবং সাহায্য করার জন্য অনেকেই আছেন।

রংপুরের এই ঘটনা নারী সুরক্ষার প্রশ্নে নতুন আলোচনা শুরু করেছে। এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, নারীদের সুরক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের সবাইকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।

নারীদের প্রতি সহিংসতা এবং হেনস্থার বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। আমাদের উচিত নারীদের প্রতি সম্মান দেখানো এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া। এই ঘটনা আমাদের সমাজের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, এবং আমাদের উচিত এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা।

আমাদের উচিত নারীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে তারা নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারে এবং স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। যদি আমরা একসাথে কাজ করি, তাহলে আমরা একটি নিরাপদ সমাজ গড়ে তুলতে পারব।

সুতরাং, আসুন আমরা সবাই মিলে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সচেষ্ট হই। আমাদের সমাজের প্রতিটি সদস্যের উচিত নারীদের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন প্রদর্শন করা, যাতে তারা নিরাপদে এবং সম্মানের সাথে জীবনযাপন করতে পারে।

Read More

পাকিস্তানে টিটিপি’র হয়ে বাংলাদেশি তরুণদের লড়াই: এক ভয়ঙ্কর সংকেত!

9/30/2025 11:28:00 PM 0

 

পাকিস্তানে টিটিপি’র হয়ে বাংলাদেশি তরুণদের লড়াই: এক ভয়ঙ্কর সংকেত

গত ছয় মাসে পাকিস্তানে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) হয়ে দুই বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যুর খবর এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। সর্বশেষ গত শুক্রবার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অভিযানে নিহত ১৭ টিটিপি সদস্যের মধ্যে মাদারীপুরের ফয়সাল নামে একজন বাংলাদেশিকে শনাক্ত করা হয়। এর আগে এপ্রিলে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আহমেদ জুবায়ের ওরফে যুবরাজ নামে আরেক বাংলাদেশি নিহত হন।

এই ঘটনাগুলো শুধু পাকিস্তান নয়, বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির জন্যও গভীর প্রশ্ন তুলছে। কীভাবে বাংলাদেশের তরুণরা পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাথে যুক্ত হচ্ছে?

বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের জঙ্গি নেটওয়ার্কের যোগসূত্র:


Photo: bbc






বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘটনা নতুন কিছু নয়। ৯০-এর দশক থেকেই আফগান যুদ্ধ ও আল-কায়েদার মাধ্যমে বাংলাদেশি উগ্রপন্থীদের পাকিস্তান-আফগানিস্তান ঘরানার জঙ্গিবাদের সাথে যোগাযোগ তৈরি হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামের সংগঠনের সাথে আল-কায়েদা ও টিটিপির সম্পর্ক থাকার তথ্যও উঠে এসেছে।

বাংলাদেশের পুলিশ জানিয়েছে, টিটিপি’র হয়ে কাজ করা কিছু বাংলাদেশি সৌদি আরব ও দুবাইকে ‘ট্রানজিট রুট’ হিসেবে ব্যবহার করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পৌঁছাচ্ছে। জুলাই মাসে আটক হওয়া দুই বাংলাদেশি যুবকও একই পথে গিয়েছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে।

কেন তরুণরা জড়িয়ে পড়ছে?

মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন মনে করেন, উগ্রপন্থার এই সংযোগ বহু পুরনো। তার ভাষায়, “আমরা এমনকি ঢাকার বায়তুল মোকাররমের সামনে প্রকাশ্যে মুজাহিদ সংগ্রহের ব্যানারও দেখেছি।” যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির কারণে বাংলাদেশে এসব তৎপরতা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, কিন্তু পাকিস্তানে নিহত দুই তরুণের ঘটনা প্রমাণ করে, নেটওয়ার্ক পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।

এক্ষেত্রে ধর্মীয় উগ্রবাদী দীক্ষা, ভার্চুয়াল প্রচার, এবং বিদেশে কর্মসংস্থানের ছদ্মবেশে তরুণদের টেনে নেওয়ার মতো কারণগুলো গুরুত্বপূর্ণ।

"বাংলাদেশের জন্য সতর্কবার্তা"

এই ঘটনার পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান বাড়ানো হয়েছে। তবুও প্রশ্ন থেকে যায়: যদি বাংলাদেশ থেকে তরুণরা এখনও পাকিস্তানের জিহাদি নেটওয়ার্কে যোগ দিচ্ছে, তবে দেশীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় কোথায় ফাঁক রয়ে গেছে?

এমন প্রবণতা বাংলাদেশের জন্য শুধু কূটনৈতিক সংকটই নয়, জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। কারণ আন্তর্জাতিক জঙ্গি নেটওয়ার্কে বাংলাদেশি অংশগ্রহণের প্রমাণ বিশ্ব মঞ্চে দেশের ভাবমূর্তিকেও নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে।

শেষকথা:

পাকিস্তানে নিহত দুই বাংলাদেশির ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিলো যে, উগ্রবাদের শেকড় কেবল ভৌগোলিক সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক সচেতনতা, শিক্ষাব্যবস্থার ভেতরে সমালোচনামূলক চিন্তা জাগানো, এবং অনলাইন প্রোপাগান্ডা রোধে প্রযুক্তিগত নজরদারি—এসবকে আরও জোরদার করা এখন সময়ের দাবি। না হলে, বিদেশের মাটিতে আরও কতজন ফয়সাল বা জুবায়ের নিঃশব্দে হারিয়ে যাবে, তার নিশ্চয়তা নেই।


Read More