ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থী - বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বশেষ খবর, খেলা, বিনোদন, রাজনীতি ও বাণিজ্যের আপডেট | TrendTodays
সর্বশেষ:

ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থী

 

একজন সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় ভোটার প্রতি ১০ টাকা হার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর থেকে বেশি খরচ করলে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

#### সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় এ অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করে। এবারের সংশোধনায় নির্বাচনী ব্যয় ও রাজনৈতিক দলের অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং সঠিকতা বজায় রাখার জন্য এই নতুন আইনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণের মাধ্যমে প্রার্থীদের খরচের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ভোটারদের জন্য একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে। এর ফলে, প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় অতিরিক্ত খরচ করতে পারবেন না, যা নির্বাচনের সুষ্ঠুতা এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
এছাড়াও, অনুদান হিসেবে প্রাপ্ত অর্থের বিস্তারিত তালিকা প্রকাশের জন্য বিশেষভাবে নির্দেশনা যোগ করা হয়েছে, যা প্রার্থীরা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবেন। এই পদক্ষেপটি রাজনৈতিক দলের অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। প্রার্থীদের জন্য তাদের অর্থের উৎস এবং ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা ভোটারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে।
চূড়ান্ত আরপিও-র অনুচ্ছেদ ৪৪-এ নতুন সংযোজন অনুসারে, প্রার্থীর নির্বাচনি ব্যয় ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নতুন নিয়মের ফলে, প্রার্থীদের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি হবে এবং তারা তাদের প্রচারণার জন্য সঠিকভাবে পরিকল্পনা করতে সক্ষম হবেন।
এছাড়াও, অনুচ্ছেদ ১৩-এ প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা জামানত, যা আগে ২০ হাজার টাকা ছিল। এই জামানতের পরিমাণ বাড়ানোর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের জন্য একটি বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে, যা তাদের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য আরও দায়িত্বশীল হতে উৎসাহিত করবে।
এ পদক্ষেপের মাধ্যমে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ায় সমতা নিশ্চিত করা হবে বলে আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এই ধরনের পরিবর্তনগুলি ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরি করবে এবং নির্বাচনের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়াবে।
নির্বাচন কমিশন আশা করছে যে, এই নতুন নিয়মাবলী প্রার্থীদের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি করবে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করে তুলবে। ভোটারদের জন্য এটি একটি ইতিবাচক পরিবর্তন, কারণ তারা এখন জানেন যে, প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় কতটা খরচ করতে পারবেন এবং তাদের অর্থের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবেন।
এছাড়াও, রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যও এই নতুন নিয়মাবলী একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে, কারণ তাদেরকে তাদের অর্থের ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছভাবে করতে হবে। এটি রাজনৈতিক দলের জন্য একটি নতুন দায়িত্ব এবং তারা যদি এই দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সার্বিকভাবে, এই নতুন আইনটি বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী এবং স্বচ্ছ করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরি করবে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকরী ও সুষ্ঠু করে তুলবে। আইন মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশন উভয়ই আশা করছেন যে, এই পরিবর্তনগুলি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করবে এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষায় সহায়ক হবে।

No comments:

Post a Comment