বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বশেষ খবর, খেলা, বিনোদন, রাজনীতি ও বাণিজ্যের আপডেট | TrendTodays: মতামত
সর্বশেষ:
Showing posts with label মতামত. Show all posts
Showing posts with label মতামত. Show all posts

আওয়ামী লীগের সমস্ত মামলা তুলে নেওয়া হবে: ফখরুল ইসলাম আলমগীর

11/12/2025 12:02:00 AM 0

সভায় ফখরুল বলেন, “আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি করতে চাই না। আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মামলায় জর্জরিত করব না। 





 বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত মামলা তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের শাপলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।


সভায় ফখরুল বলেন, “আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি করতে চাই না। আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মামলায় জর্জরিত করব না। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা তুলে নেওয়া হবে।”


তার এ বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর তা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। অনেকেই একে বিএনপির প্রতিশোধহীন রাজনীতির বার্তা হিসেবে দেখছেন।


তবে কিছুক্ষণ পরই ফখরুল এক লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানান, তার বক্তব্য “ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।” তিনি স্পষ্ট করেন, “আমি ঠাকুরগাঁওয়ের একটি ইউনিয়নের নির্দিষ্ট কিছু মামলার প্রসঙ্গে বলেছিলাম। সারাদেশের মামলা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছু বলিনি।”


তিনি আরও বলেন, “আমরা সবসময়ই ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। যেখানে অন্যায়ভাবে মামলা হয়েছে, সেখানে ন্যায়ের পথে চলবো। প্রতিশোধ নয়, জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই আমাদের লক্ষ্য।”


এদিকে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারা বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তারা যেভাবে আইনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে না বলে দাবি করছে, সেটি বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব — তা নিয়ে সন্দেহ আছে।


রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বক্তব্য বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হতে পারে। প্রতিশোধবিহীন রাজনীতির বার্তা দিয়ে দলটি মধ্যপন্থী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে চাইছে। তবে বক্তব্য সংশোধনের পর বিষয়টি নতুন বিতর্কও সৃষ্টি করেছে।


নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘোষণায় রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

Read More

সীমান্তের কাছেই ভারত গড়ল দুটি নতুন সামরিক স্থাপনা,উত্তেজনা বৃদ্ধি

11/08/2025 02:09:00 PM 0

উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ এবং ধুবড়ি, আসামে দ্রুত নির্মাণ কাজ চলছে; নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতির সংকেত।


ঢাকা/নয়াদিল্লি: বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ভারত দ্রুত দুটি নতুন সামরিক স্থাপনা তৈরি করেছে। এই স্থাপনাগুলো উভয় দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলায়। এখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের সামরিক শক্তি বাড়াতে পারবে। অন্যদিকে, আসামের ধুবড়ি জেলায় একটি নতুন সেনা স্টেশন গড়ে তোলা হচ্ছে। এটি সীমান্তের নিরাপত্তা এবং সামরিক কার্যক্রমকে শক্তিশালী করবে।

এই সামরিক স্থাপনাগুলো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই পদক্ষেপ উভয় দেশের সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। ভারত সরকার এই নতুন সামরিক স্থাপনাগুলোর মাধ্যমে সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। তবে, এর ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগও বাড়ছে।

এছাড়া, এই সামরিক স্থাপনাগুলো ভারতকে তার প্রতিরক্ষা কৌশল শক্তিশালী করতে সাহায্য করছে। এটি ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। কারণ এটি ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।


উত্তেজনার পটভূমি:

 সম্প্রতি সিলেট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলার ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাংলাদেশিরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এর পরেই এই সামরিক স্থাপনা তৈরির খবর প্রকাশিত হয়। ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে এই দুটি সামরিক স্থাপনার খবর মাত্র তিন দিনের মধ্যে ভারতীয় গণমাধ্যম 'ডেকান ক্রনিকাল'-এ প্রকাশিত হয়। এই পদক্ষেপটি বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে দ্রুত সময়ে নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সেনা কমান্ডের বার্তা:
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারী নতুন ঘাঁটিটি পরিদর্শন করেন। এই খবর ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসিয়াল এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে প্রকাশ করে।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন: লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারী ধুবড়ির বামনিগাঁও এলাকায় 'লাচিত বরফুকন সামরিক স্টেশন'-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

শক্তিশালীকরণ: ইস্টার্ন কমান্ড জানায়, নতুন এই সামরিক স্টেশন প্রতিষ্ঠা অঞ্চলটির সেনা সক্ষমতা ও অবকাঠামোকে শক্তিশালী করবে।

প্রস্তুতি বজায় রাখার আহ্বান: জেনারেল তিওয়ারী সৈন্যদের দ্রুত ঘাঁটি স্থাপনের জন্য প্রশংসা করেন। তিনি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।

এর আগে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারী স্থানীয় বিধায়ক হামিদুর রহমান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এই সামরিক প্রস্তুতি বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করার ভারতীয় কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি দুই প্রতিবেশীর মধ্যেকার সীমান্ত সম্পর্ককে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।

Read More