বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বশেষ খবর, খেলা, বিনোদন, রাজনীতি ও বাণিজ্যের আপডেট | TrendTodays: রাজনীতি
সর্বশেষ:
Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts
Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts

ভোলার বোরহানউদ্দিনে জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদানের খবরটি ভুয়া

11/14/2025 05:38:00 AM 0

ভোলার বোরহানউদ্দিনে জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদানের খবরকে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী।

ভোলা প্রতিনিধি:


বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা জামায়াত জানায়, 

একটি বিশেষ মহল জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দাড়ি টুপিওয়ালা লোকদের জামায়াত বানিয়ে দলে যোগদান করানোর চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে, তারা দাবি করছে যে, এর ফলে ওই রাজনৈতিক দলটি দেউলিয়া হয়ে গেছে, যা বাস্তবতার সাথে মিলে যায়। সংবাদে প্রকাশিত তথাকথিত মাওলানা আবুল ফয়েজ, আব্দুল করিম, আলমগীর ও মোতাহারসহ তাদের সহযোগীরা কেউই জামায়াতের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী নন। তাদের মধ্যে কেউ জামায়াতের সাথে কোনো সম্পর্কও রাখেন না।

এছাড়াও, জামায়াতে ইসলামীতে 'জয়েন্ট সেক্রেটারি' নামক কোনো পদও নেই, যা এই দাবির আরও একটি প্রমাণ। একটি আদর্শিক নিয়ম তান্ত্রিক রাজনৈতিক দলে, মনে চাইলেই রাতারাতি কেউ জামায়াতে ইসলামের নেতা বা কর্মী হতে পারে না। জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে নিয়ম তান্ত্রিক পদ্ধতিতেই জামায়াতে ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত হতে হয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুরআন ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে, যাতে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। জামায়াতের লক্ষ্য হলো একটি ন্যায়সঙ্গত ও সুশাসিত সমাজ গঠন করা, যেখানে সকল মানুষের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা পাবে।

এছাড়াও, জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে। তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং সামাজিক সেবা খাতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে, যা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জামায়াতের নেতৃবৃন্দ বিশ্বাস করেন যে, একটি সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতার উপর ভিত্তি করে কাজ করা অত্যন্ত জরুরি।

তাদের এই প্রচেষ্টা দেশের যুব সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে, যাতে তারা ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে যে, একটি শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনের জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তাই, তারা জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে, যাতে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।

এইভাবে, জামায়াতে ইসলামী তাদের আদর্শ ও নীতির ভিত্তিতে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে এবং তারা আশা করে যে, জনগণ তাদের এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে এবং দেশের উন্নয়নে তাদের সাথে যোগ দেবে।

Read More

চট্টগ্রাম: অস্ত্রধারী দেখলে “ব্রাশফায়ার” সিএমপি কমিশনারের নির্দেশ

11/12/2025 12:33:00 AM 0

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দেখা মাত্র গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার







চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে বেতার বার্তায় থানা, ফাঁড়ি ও টহল টিমগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি কেউ অস্ত্র নিয়ে দেখা যায় বা হামলার চেষ্টা করে, তাহলে আত্মরক্ষায় সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালাতে হবে।

তিনি বলেন, “এই নির্দেশ শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।”


কেন এই নির্দেশ:


কমিশনার জানান, ২০২৪ সালের ৬-৮ আগস্ট চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র লুট হয়েছে। অনেক আগ্নেয়াস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। পুলিশ জানে না, এগুলো সন্ত্রাসীদের কাছে গেছে কিনা বা অপরাধে ব্যবহার হচ্ছে কিনা।

তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে নির্বাচনি গণসংযোগে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে যে অটোমেটিক পিস্তল ব্যবহার হয়েছে, সেটি পুলিশের অস্ত্র হতে পারে। যদি আমরা অস্ত্রটি উদ্ধার করতে পারতাম, তাহলে বুঝতে পারতাম এটি আমাদের কি না।”

এই পরিস্থিতিতে কমিশনার নির্দেশ দেন, কেউ যদি হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র হাতে নেয়, তাহলে তাকে গুলি করা হবে। তিনি বলেন, এটি দণ্ডবিধির ৭৫, ৭৬, ৯৬ থেকে ১০৬ ধারায় আইনি ভিত্তি রাখে।


আগেও ছিল এমন নির্দেশ


এআগস্টে সিএমপি কমিশনার বেতার বার্তায় বলেছিলেন, “যদি টহল দলের সামনে কেউ অস্ত্র বের করে, তাহলে আত্মরক্ষায় গুলি চালানো হবে।”

সেই বার্তাটি ভাইরাল হলে তা নিয়ে অনেক আলোচনা ও বিতর্ক হয়েছিল।



মানবাধিকার উদ্বেগ: 


আইন ও মানবাধিকার বিশ্লেষকরা বলছেন, “দেখামাত্র গুলি” বা “ব্রাশফায়ার” নির্দেশ বাস্তবে প্রয়োগ হলে সমস্যা হতে পারে। এতে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ ও মানবাধিকারের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তারা বলছেন, প্রতিটি ঘটনায় সঠিক শনাক্তকরণ, সতর্কবাণী এবং স্বাধীন তদন্তের নিশ্চয়তা থাকা জরুরি।


 পরবর্তী পদক্ষেপ


সিএমপি বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এই বিষয়ে কোনো লিখিত বিজ্ঞপ্তি দেয়নি।

স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নির্দেশনার প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

এরপর আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা আসবে।

সূত্র:

প্রাথমিক প্রতিবেদন: প্রথম আলো, ঢাকাটাইমস২৪, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, দ্য ডেইলি স্টার, যুগান্তর।

স্থানীয় পুলিশ সূত্র ও সিএমপি বেতার বার্তা সম্পর্কিত তথ্য।

Read More

আওয়ামী লীগের সমস্ত মামলা তুলে নেওয়া হবে: ফখরুল ইসলাম আলমগীর

11/12/2025 12:02:00 AM 0

সভায় ফখরুল বলেন, “আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি করতে চাই না। আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মামলায় জর্জরিত করব না। 





 বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত মামলা তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের শাপলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।


সভায় ফখরুল বলেন, “আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি করতে চাই না। আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মামলায় জর্জরিত করব না। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা তুলে নেওয়া হবে।”


তার এ বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর তা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। অনেকেই একে বিএনপির প্রতিশোধহীন রাজনীতির বার্তা হিসেবে দেখছেন।


তবে কিছুক্ষণ পরই ফখরুল এক লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানান, তার বক্তব্য “ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।” তিনি স্পষ্ট করেন, “আমি ঠাকুরগাঁওয়ের একটি ইউনিয়নের নির্দিষ্ট কিছু মামলার প্রসঙ্গে বলেছিলাম। সারাদেশের মামলা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছু বলিনি।”


তিনি আরও বলেন, “আমরা সবসময়ই ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। যেখানে অন্যায়ভাবে মামলা হয়েছে, সেখানে ন্যায়ের পথে চলবো। প্রতিশোধ নয়, জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই আমাদের লক্ষ্য।”


এদিকে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারা বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তারা যেভাবে আইনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে না বলে দাবি করছে, সেটি বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব — তা নিয়ে সন্দেহ আছে।


রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বক্তব্য বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হতে পারে। প্রতিশোধবিহীন রাজনীতির বার্তা দিয়ে দলটি মধ্যপন্থী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে চাইছে। তবে বক্তব্য সংশোধনের পর বিষয়টি নতুন বিতর্কও সৃষ্টি করেছে।


নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘোষণায় রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

Read More

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন: এবার প্রার্থীকে সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগ পাচ্ছেন ভোটাররা, আসছে ‘ভোটের সাথী’ অ্যাপ

11/09/2025 02:07:00 PM 0

 

দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তিনির্ভর নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।

 আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে চলেছে বিশেষ একটি নির্বাচনী অ্যাপ্লিকেশন

যার নাম ‘ভোটের সাথী’। এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ভোটাররা তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীদের সরাসরি প্রশ্ন করার এবং তাদের সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানার সুযোগ পাবেন।
এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি প্রার্থী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ এবং জবাবদিহিতার একটি নতুন ক্ষেত্র তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারের আইসিটি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এই অত্যাধুনিক অ্যাপটি তৈরি করছে। এটিকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বাস্তবায়নে সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই অ্যাপটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন এবং এর বাস্তবায়নে সরকারের কোনো অতিরিক্ত আর্থিক ব্যয় হবে না। এটি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ে ভোটারদের প্রযুক্তিভিত্তিক সেতুবন্ধ তৈরি করবে।
সুশীল সমাজ ও নির্বাচন বিশ্লেষকরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের মতে, এটি একটি সুচিন্তিত পদক্ষেপ। আগে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহার শুধু দলীয় প্রচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত, কিন্তু এখন সরাসরি প্রশ্নের সুযোগ থাকায় প্রার্থীরা জনকল্যাণ ও নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আরও বেশি সচেতন থাকবেন।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল আলীমের অভিমত, এই অ্যাপ ডিজিটাল যুগে প্রার্থী ও ভোটারের সংযোগ বাড়িয়ে সংঘাত কমাবে এবং নির্বাচনের পরেও জনসেবার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

অ্যাপের ৬টি মূল বৈশিষ্ট্য:

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার ভিত্তিতে তৈরি ‘ভোটের সাথী’ অ্যাপের অনলাইন ও মোবাইল সংস্করণে মোট ছয় ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ফিচার সন্নিবেশিত হয়েছে:
১. প্রার্থীর বিস্তারিত তথ্য প্রদর্শন: প্রার্থীর হলফনামা, সম্পদের বিবরণী, আয়কর তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, রাজনৈতিক পরিচিতি এবং নির্বাচনী ইশতেহার— সব তথ্য ভোটারদের জন্য প্রদর্শিত হবে।
২. সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগ: ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সরাসরি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং প্রার্থীরা সেগুলোর উত্তর দিতে পারবেন।
৩. ভোটকেন্দ্রের তথ্য: নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রের অবস্থান ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য খুব সহজে জানা যাবে।
৪. অনিয়ম রিপোর্ট: ভোট চলাকালীন বা প্রচারণায় কোনো ধরনের অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তা দ্রুত অ্যাপের মাধ্যমে রিপোর্ট করা যাবে।
৫. তথ্যের সত্যতা যাচাই: ফ্যাক্ট-চেকিং এবং মনিটরিং সংস্থাগুলো অ্যাপে প্রদর্শিত প্রার্থীর তথ্য যাচাই-বাছাই করতে পারবে।
৬. পৃথক ড্যাশবোর্ড: ব্যবহারকারীদের জন্য একটি পৃথক ড্যাশবোর্ড থাকবে, যেখানে তারা ভোটের অনিয়ম এবং প্রার্থীর প্রতিশ্রুতিগুলো লিপিবদ্ধ ও পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

অ্যাপটির সফল কার্যকারিতার জন্য আইসিটি বিভাগ নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রার্থীদের সম্পদ বিবরণী, 

হলফনামা, আসনভিত্তিক তালিকা, ভোটার তথ্য এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত সংবেদনশীল ডেটা চেয়েছে।
তবে, নির্বাচন কমিশনের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ইসির ডেটাগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠান বা ভেন্ডরকে এসব তথ্য সরাসরি অ্যাক্সেস দেওয়া নিয়ে ইসির অভ্যন্তরে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে। নিরাপত্তা বজায় রেখে তথ্য সরবরাহে কিছু বাস্তব সমস্যা ও ঝুঁকি তুলে ধরেছে কমিশন। তবে, সীমিত সময়ের জন্য ভিপিএন (VPN)-এর মাধ্যমে সীমিত অ্যাক্সেস দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, অ্যাপসটির পরীক্ষামূলক যাচাই-বাছাই শেষে আইসিটি বিভাগ এটির মেধাস্বত্ব (Intellectual Property), সোর্সকোডসহ সকল কারিগরি দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করবে এবং কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে।

Read More

সীমান্তের কাছেই ভারত গড়ল দুটি নতুন সামরিক স্থাপনা,উত্তেজনা বৃদ্ধি

11/08/2025 02:09:00 PM 0

উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ এবং ধুবড়ি, আসামে দ্রুত নির্মাণ কাজ চলছে; নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতির সংকেত।


ঢাকা/নয়াদিল্লি: বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ভারত দ্রুত দুটি নতুন সামরিক স্থাপনা তৈরি করেছে। এই স্থাপনাগুলো উভয় দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলায়। এখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের সামরিক শক্তি বাড়াতে পারবে। অন্যদিকে, আসামের ধুবড়ি জেলায় একটি নতুন সেনা স্টেশন গড়ে তোলা হচ্ছে। এটি সীমান্তের নিরাপত্তা এবং সামরিক কার্যক্রমকে শক্তিশালী করবে।

এই সামরিক স্থাপনাগুলো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই পদক্ষেপ উভয় দেশের সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। ভারত সরকার এই নতুন সামরিক স্থাপনাগুলোর মাধ্যমে সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। তবে, এর ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগও বাড়ছে।

এছাড়া, এই সামরিক স্থাপনাগুলো ভারতকে তার প্রতিরক্ষা কৌশল শক্তিশালী করতে সাহায্য করছে। এটি ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। কারণ এটি ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।


উত্তেজনার পটভূমি:

 সম্প্রতি সিলেট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলার ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাংলাদেশিরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এর পরেই এই সামরিক স্থাপনা তৈরির খবর প্রকাশিত হয়। ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে এই দুটি সামরিক স্থাপনার খবর মাত্র তিন দিনের মধ্যে ভারতীয় গণমাধ্যম 'ডেকান ক্রনিকাল'-এ প্রকাশিত হয়। এই পদক্ষেপটি বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে দ্রুত সময়ে নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সেনা কমান্ডের বার্তা:
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারী নতুন ঘাঁটিটি পরিদর্শন করেন। এই খবর ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসিয়াল এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে প্রকাশ করে।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন: লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারী ধুবড়ির বামনিগাঁও এলাকায় 'লাচিত বরফুকন সামরিক স্টেশন'-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

শক্তিশালীকরণ: ইস্টার্ন কমান্ড জানায়, নতুন এই সামরিক স্টেশন প্রতিষ্ঠা অঞ্চলটির সেনা সক্ষমতা ও অবকাঠামোকে শক্তিশালী করবে।

প্রস্তুতি বজায় রাখার আহ্বান: জেনারেল তিওয়ারী সৈন্যদের দ্রুত ঘাঁটি স্থাপনের জন্য প্রশংসা করেন। তিনি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।

এর আগে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারী স্থানীয় বিধায়ক হামিদুর রহমান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এই সামরিক প্রস্তুতি বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করার ভারতীয় কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি দুই প্রতিবেশীর মধ্যেকার সীমান্ত সম্পর্ককে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।

Read More

ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থী

11/04/2025 07:12:00 PM 0
 

একজন সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় ভোটার প্রতি ১০ টাকা হার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর থেকে বেশি খরচ করলে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

#### সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় এ অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করে। এবারের সংশোধনায় নির্বাচনী ব্যয় ও রাজনৈতিক দলের অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং সঠিকতা বজায় রাখার জন্য এই নতুন আইনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণের মাধ্যমে প্রার্থীদের খরচের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ভোটারদের জন্য একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে। এর ফলে, প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় অতিরিক্ত খরচ করতে পারবেন না, যা নির্বাচনের সুষ্ঠুতা এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
এছাড়াও, অনুদান হিসেবে প্রাপ্ত অর্থের বিস্তারিত তালিকা প্রকাশের জন্য বিশেষভাবে নির্দেশনা যোগ করা হয়েছে, যা প্রার্থীরা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবেন। এই পদক্ষেপটি রাজনৈতিক দলের অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। প্রার্থীদের জন্য তাদের অর্থের উৎস এবং ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা ভোটারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে।
চূড়ান্ত আরপিও-র অনুচ্ছেদ ৪৪-এ নতুন সংযোজন অনুসারে, প্রার্থীর নির্বাচনি ব্যয় ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নতুন নিয়মের ফলে, প্রার্থীদের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি হবে এবং তারা তাদের প্রচারণার জন্য সঠিকভাবে পরিকল্পনা করতে সক্ষম হবেন।
এছাড়াও, অনুচ্ছেদ ১৩-এ প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা জামানত, যা আগে ২০ হাজার টাকা ছিল। এই জামানতের পরিমাণ বাড়ানোর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের জন্য একটি বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে, যা তাদের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য আরও দায়িত্বশীল হতে উৎসাহিত করবে।
এ পদক্ষেপের মাধ্যমে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ায় সমতা নিশ্চিত করা হবে বলে আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এই ধরনের পরিবর্তনগুলি ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরি করবে এবং নির্বাচনের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়াবে।
নির্বাচন কমিশন আশা করছে যে, এই নতুন নিয়মাবলী প্রার্থীদের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি করবে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করে তুলবে। ভোটারদের জন্য এটি একটি ইতিবাচক পরিবর্তন, কারণ তারা এখন জানেন যে, প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় কতটা খরচ করতে পারবেন এবং তাদের অর্থের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবেন।
এছাড়াও, রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যও এই নতুন নিয়মাবলী একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে, কারণ তাদেরকে তাদের অর্থের ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছভাবে করতে হবে। এটি রাজনৈতিক দলের জন্য একটি নতুন দায়িত্ব এবং তারা যদি এই দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সার্বিকভাবে, এই নতুন আইনটি বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী এবং স্বচ্ছ করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরি করবে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকরী ও সুষ্ঠু করে তুলবে। আইন মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশন উভয়ই আশা করছেন যে, এই পরিবর্তনগুলি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করবে এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষায় সহায়ক হবে।
Read More

এনসিপির নেতারা কে কোন আসনে লড়বেন?

11/03/2025 11:16:00 PM 0

আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তীব্র হতে পারে,


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২৩৭ সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির পক্ষ থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাটি করা হয়। পরে রাতের দিকে আরও কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, ঢাকা-১১ আসন থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং ঢাকা-১৮ আসন থেকে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।

এনসিপির একটি সূত্র জানায়, পঞ্চগড়-১ আসনে সারজিস আলম এবং নরসিংদী-২ আসনে সারোয়ার তুষার নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে, সূত্রটি নাম প্রকাশ করতে চাননি। তিনি আরও জানান, নাহিদ ইসলাম আগেই ঘোষণা করেছেন যে তিনি ঢাকা-১১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। এছাড়া, ঢাকা-৯ আসনে তাসনিম জারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে, যা দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

অপরদিকে, নির্বাচনের মাঠে লড়াই করার জন্য আরও কিছু প্রার্থীর নাম উঠে এসেছে। আবদুল হান্নান মাসউদ নোয়াখালী-৬ আসনে, সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া নোয়াখালী-২ আসনে, কুমিল্লা-৪ আসনে হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং রংপুর-৪ আসনে আখতার হোসেন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন এবং জনগণের কাছে তাদের বার্তা পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

বিএনপি এবং এনসিপির এই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে এবং নির্বাচনী প্রতিযোগিতার উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা এবং তাদের পরিকল্পনা জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে।

নির্বাচনের আগে, প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং তাদের নির্বাচনী কৌশল নিয়ে আলোচনা চলছে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের শক্তি এবং দুর্বলতা বিশ্লেষণ করে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। বিএনপি এবং এনসিপির প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইস্যু তুলে ধরছেন, যা ভোটারদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তীব্র হতে পারে, এবং এটি রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে। ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদের ভোট দেওয়ার আগ্রহ বাড়ানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

সব মিলিয়ে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হতে যাচ্ছে, যেখানে বিএনপি এবং এনসিপির প্রার্থীরা তাদের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনের ফলাফল দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

Read More

জামায়াত আমিরের প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন বিএনপির যে প্রার্থী

11/03/2025 10:57:00 PM 0

 ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ২৩৭টি সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নাম রয়েছে, যা দলের পরিকল্পনা বোঝায়। ঢাকা-১৫ আসনে ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন শফিকুল ইসলাম খান মিল্টন। তিনি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এই আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকেও শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে লড়বেন ডা. শফিকুর রহমান। এটি নির্বাচনী প্রতিযোগিতাকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করবে।

আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, "আমরা আমাদের প্রার্থীদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আমাদের লক্ষ্য হলো জনগণের আস্থা অর্জন করা।"

এর আগে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত হয়। এই বৈঠকে নেতারা নির্বাচনী কৌশল এবং প্রচারণার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তারা নিশ্চিত করেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিএনপি জনগণের জন্য শক্তিশালী বিকল্প হবে।

এছাড়া, বিএনপি নেতারা নির্বাচনের আগে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। তারা মনে করেন, জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল সফল হতে পারে না। তাই, বিএনপি তাদের প্রচারণায় জনগণের সাথে যোগাযোগ করতে চায় এবং তাদের সমস্যাগুলো শোনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

এভাবে, বিএনপি আগামী নির্বাচনে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে চায় এবং জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য কাজ করবে।


মির্জা ফখরুল বলেন,

দীর্ঘ ১৬ বছর পর, আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন হবে। এটি আমাদের দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই নির্বাচনে প্রায় ২৩৭টি আসনে প্রার্থীদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। এটি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জন্য একটি বড় সুযোগ। বিশেষ করে, যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীরা প্রার্থী হবে, সেগুলোতে বিএনপি সমন্বয় করবে। এটি রাজনৈতিক ঐক্য এবং সহযোগিতার প্রতীক।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এই নেতারা নির্বাচনের গুরুত্ব এবং ভোটের অধিকার রক্ষার বিষয়ে আলোচনা করেন।

তারা বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। বিএনপি তাদের প্রার্থীদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করছে। জনগণের সমর্থন পেতে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি নেবে।

তারা আশা প্রকাশ করেছেন, এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির নতুন দিগন্ত খুলবে। এটি দেশের ভবিষ্যৎকে আলোকিত করবে।

Read More

বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই রুহুল কবির রিজভী

11/03/2025 10:14:00 PM 0


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ২৩৭টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। 


এই তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে দলটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তালিকা দেখে দেখা যায়, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর নাম নেই। এটি রাজনৈতিক মহলে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, "আমরা একটি শক্তিশালী তালিকা তৈরি করেছি।" তিনি আরও বলেন, এই তালিকা দলের অভ্যন্তরীণ আলোচনা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে।
এর আগে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির একটি বৈঠক হয়। সেখানে দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে প্রার্থীদের নামের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। বিভিন্ন আসনের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা হয় এবং তাদের নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ করা হয়। বিএনপি নেতারা আশা করছেন, এই নির্বাচনে তারা জনগণের সমর্থন পাবে। তারা মনে করেন, নির্বাচনের আগে দলের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন দেখার বিষয় হলো, বিএনপি কিভাবে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে এবং জনগণের কাছে বার্তা পৌঁছায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপির পারফরম্যান্স তাদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক অবস্থানকে প্রভাবিত করবে। তাই, দলটি নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।


মির্জা ফখরুল বলেন,

 ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমরা একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। এটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হবে। এই নির্বাচনে প্রায় ২৩৭ আসনে প্রার্থী তালিকা তৈরি হচ্ছে। এটি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জন্য একটি বড় সুযোগ। বিএনপি, দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল, তারা নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা তাদের প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করছে।

এছাড়া, যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীরা প্রার্থী ঘোষণা করবে, সেগুলোর সমন্বয় বিএনপি করবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি রাজনৈতিক ঐক্য এবং সহযোগিতার উদাহরণ হবে। বিএনপির এই উদ্যোগ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও গতিশীল করবে। এটি জনগণের মধ্যে নতুন আশা সৃষ্টি করবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এই নেতাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে, বিএনপি নির্বাচনের জন্য কতটা প্রস্তুত।

এখন দেশের জনগণ আশা করছে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে তারা তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। তারা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে চায়। বিএনপির এই উদ্যোগ এবং তাদের নেতাদের সক্রিয়তা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে।

Read More

Trump-Google Legal Battle: YouTube Pays $24.5 Million; New U.S. Tariffs on Lumber Announced

10/01/2025 10:36:00 PM 0

 

Trump-Google Legal Battle: YouTube Pays $24.5 Million; New U.S. Tariffs on Lumber Announced


YouTube agrees to a $24.5M settlement in Trump lawsuit over account suspension, while President Trump imposes new tariffs on lumber and wood imports to protect U.S. industry. Full details here.




Donald Trump 45th and 47th U.S. Presiden


YouTube Settles Trump Lawsuit for $24.5 Million

Alphabet-owned YouTube has agreed to pay $24.5 million to settle a lawsuit brought by U.S. President Donald Trump over the suspension of his account following the January 6, 2021 Capitol riots.

According to court filings, the settlement includes:

  • $22 million directed to the Trust for the National Mall, at Trump’s request, to support construction of a new White House ballroom.

  • $2.5 million distributed among other plaintiffs, including the American Conservative Union and author Naomi Wolf.

Importantly, YouTube did not admit any wrongdoing in the agreement and will not be required to change its moderation or content policies. This marks the third major settlement between Trump and social media platforms, following earlier payouts from Meta and X (formerly Twitter).

Analysts say the deal boosts Trump’s ongoing campaign to portray Big Tech as politically biased while also securing a financial and symbolic victory in his legal battles.


Trump Signs Tariffs on Lumber and Wood Products

In another major policy move, President Trump signed a proclamation on September 29, 2025, imposing new tariffs on imported timber, lumber, and derivative wood products.

Tariff Details:

  • 10% tariff on softwood timber and lumber imports.

  • 25% tariff on kitchen cabinets, bathroom vanities, and wooden furniture.

  • Beginning January 2026, these rates will rise to 30–50% unless trade agreements are reached with key partners.

The decision was made under Section 232 of the Trade Expansion Act (1962) after the Commerce Department determined that heavy reliance on imports threatened U.S. national security and domestic industry capacity.

Global and Domestic Impact

  • Canada, the largest supplier of softwood lumber to the U.S., is expected to be hit hardest, potentially sparking trade retaliation.

  • Construction and housing industry experts warn that tariffs could raise the costs of building materials, furniture, and home renovations.

  • Industry groups and the U.S. Chamber of Commerce have criticized the move, warning of inflationary effects on consumers.


Why This Matters

  • The YouTube settlement highlights Trump’s ongoing influence in the battle between political figures and Big Tech platforms.

  • The lumber tariffs reinforce his “America First” economic strategy, aimed at protecting U.S. manufacturers but with possible global trade consequences.

  • Both stories reflect Trump’s dual strategy of challenging powerful corporations while using trade policy as leverage in global negotiations.


Read More