ভোলার বোরহানউদ্দিনে জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদানের খবরকে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী।
বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা জামায়াত জানায়,
একটি বিশেষ মহল জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দাড়ি টুপিওয়ালা লোকদের জামায়াত বানিয়ে দলে যোগদান করানোর চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে, তারা দাবি করছে যে, এর ফলে ওই রাজনৈতিক দলটি দেউলিয়া হয়ে গেছে, যা বাস্তবতার সাথে মিলে যায়। সংবাদে প্রকাশিত তথাকথিত মাওলানা আবুল ফয়েজ, আব্দুল করিম, আলমগীর ও মোতাহারসহ তাদের সহযোগীরা কেউই জামায়াতের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী নন। তাদের মধ্যে কেউ জামায়াতের সাথে কোনো সম্পর্কও রাখেন না।
এছাড়াও, জামায়াতে ইসলামীতে 'জয়েন্ট সেক্রেটারি' নামক কোনো পদও নেই, যা এই দাবির আরও একটি প্রমাণ। একটি আদর্শিক নিয়ম তান্ত্রিক রাজনৈতিক দলে, মনে চাইলেই রাতারাতি কেউ জামায়াতে ইসলামের নেতা বা কর্মী হতে পারে না। জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে নিয়ম তান্ত্রিক পদ্ধতিতেই জামায়াতে ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত হতে হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুরআন ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে, যাতে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। জামায়াতের লক্ষ্য হলো একটি ন্যায়সঙ্গত ও সুশাসিত সমাজ গঠন করা, যেখানে সকল মানুষের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা পাবে।
এছাড়াও, জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে। তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং সামাজিক সেবা খাতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে, যা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জামায়াতের নেতৃবৃন্দ বিশ্বাস করেন যে, একটি সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতার উপর ভিত্তি করে কাজ করা অত্যন্ত জরুরি।
তাদের এই প্রচেষ্টা দেশের যুব সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে, যাতে তারা ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে যে, একটি শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনের জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তাই, তারা জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে, যাতে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।
এইভাবে, জামায়াতে ইসলামী তাদের আদর্শ ও নীতির ভিত্তিতে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে এবং তারা আশা করে যে, জনগণ তাদের এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে এবং দেশের উন্নয়নে তাদের সাথে যোগ দেবে।











